পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাফাখালী স্লুইস গেট দখল করে স্থাপনা উঠানোর মহোৎসব চলছে। বাপাউবো কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গগুলি দেখিয়ে একটি চক্র এই অবৈধ দখলের কাজটি করে আসছে বীরদর্পে। এলাকার স্থানীয় কৃষকদের ফসলের মাঠে পানি নিষ্কাশনের একটি মাত্র স্লুইসগেট, ঐ গেট টির আশে পাশের জমি ও খাল দখলদার দের কবলে পড়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে কৃষক ও সাধারন জন সাধারনের।
সরেজমিনে দেখা গেছে স্থানীয় মোঃ মফিজ দর্জি, মোঃ সোনামিয়া রাড়ি,মোঃ ফারুক হাওলাদার, মোঃ সলেমান সরদার,নূর ইসলাম রাড়ি, ইব্রাহীম মৃধা সহ বেশ কিছু মানুষ এই অবৈধ দখলের কাজে জড়িত। তারা নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে স্থাপনা উঠাচ্ছেন এবং আরও একাধিক স্থাপনা উঠানোর পায়তারা চালাচ্ছেন।
স্থানীয় ফারুক হাওলাদার ও মফিজ দর্জী পানি উন্নয়ন বোর্ডের খালাশীর থাকার ঘড়টিও দখলে নিয়ে নেয়।
স্থানীয় কৃষক ও জেলে, শাহিন,সুলতান,ফারুক,জসিম,করিম,জামাল,ফোরকান সহ একাধীক জনগন জানান, আমরা অবৈধ দখল দারদের হাত থেকে স্লুইস গেটটি মুক্ত চাই এবং ওরা এভাবে স্থাপনা তৈরি করলে আমরা প্রতিদিন নানা সমস্যার স্বীকার হবো।
অপর দিকে পানি নিষ্কাশনে ব্যাহত হবে ও খালটি ভরাট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করছি যাহাতে দখল দারদের হাত থেকে মুক্তি পাই। আবার স্বাভাবিক স্থানে ফিরে আসুক ঐ স্থানটি তাহলে আমরা স্বস্তি ফিরে পাব।
এবিষয়ে মফিজ দর্জি, সোনা মিয়া,ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান,আমরা মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এর কাছে বিষটি জানিয়ে ঘড় তৈরি করেছি তিনি আমাদের ঘড় উঠানোর অনুমতি দিয়েছেন।
মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান কাজী হেমায়েত উদ্দিন হিরন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,আমি ওদের কে স্থাপনা উঠাতে নিষেধ করেছি। এগুলো উঠানো যাবেনা। আমি কোন প্রকার অনুমতি দেইনি।
কলাপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান,অবৈধ স্থাপনা তৈরির বিষয়টি আমি পানি উন্নয়নবোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক জানান, আমি পানি উন্নয়নবোর্ড কে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিবো। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মোহাম্মাদ অলিউজ্জামান জানান, আমি অচীরেই নোটিশ দিয়ে অবৈধ দখল দারদের উচ্ছেদ এর ব্যাবস্থা করবো।